রাজশাহীতে সূর্যের দেখা নেই, কোয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি, শীতে কাপছেন ছিন্নমূল মানুষ

রাজশাহীতে সূর্যের দেখা নেই, কোয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি, শীতে কাপছেন ছিন্নমূল মানুষ

রাজশাহীতে সূর্যের দেখা নেই, কোয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি, শীতে কাপছেন ছিন্নমূল মানুষ
রাজশাহীতে সূর্যের দেখা নেই, কোয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি, শীতে কাপছেন ছিন্নমূল মানুষ

নিজস্ব প্রতিদেক : রাজশাহীতে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। শীতে কাপছেন ছিন্নমূল মানুষ। এমন আবহাওয়ায় অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ঠা-াজনিত রোগে। ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছে পাঁচশোর বেশি। মারা গেছে ১২ শিশু। ঝুঁকি এড়াতে সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে সবচে দুর্ভোগে পড়েছে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ। পথের ধারে খড়-কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণে আপ্রাণ চেষ্টা তাদের। আর চাদর অথবা গরম কাপড় মুড়িয়ে কাজে বের হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়াও শীত নিবারনের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষেরা কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মহানগরীর বিভিন্ন ফুটপাতে ভাসমান দোকানগুলোতে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, রাজশাহীতে র্সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এসেছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসা এবং সূর্যের দেখা না পাওয়ার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর তাপমাত্রা আরও কমবে। তখন শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।

এদিকে, শীতের কারণে রামেক হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলুর রহমান শীমন বলেন, শীতে ঠান্ডাজনিত রোগগুলো বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কুয়াশা কেটে গেলেই শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার আভাস দিয়েছেন রাজশাহীর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. নজরুল ইসলাম। মেডিকেলে ঠান্ডাজনিত রোগে বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে দুশোর বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১২ ডিসেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply